• রাত ৩:৪৯ মিনিট সোমবার
  • ৬ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  • ঋতু : গ্রীষ্মকাল
  • ২০শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
এই মাত্র পাওয়া খবর :
‘যারা আনারসে ভোট দিতে চান, কেন্দ্রে আইসেন, না দিতে চাইলে ঘরে থাইকেন’ বাবুল ওমরের হুমকি-ধামকিতে ভোটের মাঠে প্রভাব পড়েছে আনারস প্রতিকের সোনারগাঁয়ে চোরাই মোবাইলসহ সাতজন গ্রেফতার  আজ থেকে কালাম আমার পরিবারের একজন সদস্য আওয়ামীলীগ নেতা বিরুর বংশ উচ্ছেদের হুমকির ঘটনায় বাবুল ওমরকে শোকজ ঘোড়াকে জয়ী করতে নির্বাচনী মাঠে কাঁচপুরের খাঁন পরিবার ঘোড়ার পক্ষে যু্বলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক কামাল হোসেনের উঠান বৈঠক উপজেলা আওয়ামীলীগের নীতি নির্ধারক সোহাগ রনি? সোনারগাঁয়ে গত ৯ দিন ধরে দুই সহোদর নিখোঁজ সোনারগাঁয়ে দুই কোটি টাকার ইয়াবা জব্দ, ১কারবারি গ্রেপ্তার আমান খাঁনের উদ্যোগে কাঁচপুরে কালামের নির্বাচনী প্রচারনা সভা আড়াইহাজারে নির্বাচনী আচারন বিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ হুইপ বাবুর বিরুদ্ধে আড়াইহাজারে নির্বাচনী আচারন বিধি লঙ্ঘন হুইপ বাবুর বিরুদ্ধে বন্দরের নতুন চেয়ারম্যান মাকসুদ চেয়ারম্যান নারায়ণগঞ্জ পল­ী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কর্মবিরতি পালন সোনারগাঁয়ে তিনদিন ব্যাপী ফায়ার সার্ভিসেরর স্বেচ্ছাসেবক প্রশিক্ষন সোনারগাঁয়ে আস্থা ফিডে সেনা প্রধান সোনারগাঁয়ে উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থীদের মধ্যে প্রতিক বরাদ্দ সোনারগাঁও পৌরসভায় কালামের কেন্দ্র কমিটির সভা সোনারগাঁয়ে বিশ বছর পর বাকপ্রতিবন্ধী ভাইকে ফিরে পেলেন তার বড় ভাই
করোনাভাইরাস: নারায়ণগঞ্জ থেকে কেন মানুষ গোপনে অন্য এলাকায় পালিয়ে যাচ্ছে?

করোনাভাইরাস: নারায়ণগঞ্জ থেকে কেন মানুষ গোপনে অন্য এলাকায় পালিয়ে যাচ্ছে?

Logo


বাংলাদেশের ভেতরে করোনাভাইরাসের এপিসেন্টার বা মূলকেন্দ্র হিসেবে বর্ণনা করা হচ্ছে নারায়ণগঞ্জকে। সেখানে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা যেমন বেশি তেমনি মৃত্যুর সংখ্যাও অনেক।
বাংলাদেশের স্বাস্থ্য বিভাগের হিসেবে শনিবার পর্যন্ত দেখা যাচ্ছে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ৪৮২ জনের মধ্যে নারায়ণগঞ্জে আছেন ৮৩ জন।
গত কয়েকদিন ধরেই নারায়ণগঞ্জ থেকে কিছু মানুষ গোপনে দেশের বিভিন্ন এলাকায় পৌঁছে গেছেন। এসব মানুষ হয়তো নারায়ণগঞ্জে বিভিন্ন পেশার সাথে জড়িত।
যেসব জেলায় নারায়ণগঞ্জ থেকে মানুষ গিয়েছে সেগুলোর মধ্যে রয়েছে চাঁদপুর, ফেনী, লক্ষ্মীপুর, গাজীপুর, ভোলা ও বরিশাল।
গত সপ্তাহের শেষের দিকে নারায়ণগঞ্জ থেকে ফেনী গিয়েছেন এমন দুজন ব্যক্তির জানালেন, নারায়ণগঞ্জে তারা ‘ছোটখাটো চাকুরীর’ সাথে সম্পৃক্ত। মার্চ মার্চের ২৬ তারিখ থেকে কোন কাজ না থাকায় তারা গ্রামের বাড়ি ফেনীতে চলে যাবার সিদ্ধান্ত নেন।

তাদের আশংকা হচ্ছে, নারায়ণগঞ্জে তারা যেখানে বসবাস করেন সে বাড়িতে বা তার আশপাশে যদি কারো দেহে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া তাহলে হয়তো সে এলাকা থেকে আর বের হতে পারবেন না। সেজন্য তারা গ্রামের বাড়ি চলে যান।

তারা জানান, নারায়ণগঞ্জে বেশ কয়েকজনের মধ্যে করোনাভাইরাসের সংক্রমণের খবর ছড়িয়ে গেলে তাদের মনে আতঙ্ক তৈরি হয়। তাছাড়া নারায়ণগঞ্জে তারা কার্যত বন্দি জীবন-যাপন করছিলেন। তবে দুজনেই জানিয়েছেন, গ্রামের বাড়িতে যাবার পর তারা পরিবারের সদস্যদের সাথেও শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখছেন।

সম্প্রতি নারায়ণগঞ্জ থেকে গোপনে বরিশালের উজিরপুরে যাওয়ার কারণে সেখানে বেশ কয়েটি বাড়ি লকডাউন করে দিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।

গত বৃহস্পতিবার নারায়ণগঞ্জ থেকে মাইক্রোবাস, পিকআপ ও অ্যাম্বুলেন্সে করে কিছু মানুষ ঠাকুরগাঁও গিয়েছে। এখন সেসব ব্যক্তি এবং তাদের বহনকারী যানবাহন খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে প্রশাসন।

দেশজুড়ে যানবাহন চলাচল নিষিদ্ধ হলেও নারায়ণগঞ্জ থেকে দলে দলে মানুষ কিভাবে দেশের বিভিন্ন জায়গায় যাচ্ছে সে প্রশ্ন উঠেছে।

নারায়ণগঞ্জ থেকে ভৈরবে পালিয়ে যাবার কারণে পাঁচকে বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টিনে পাঠিয়েছে ভৈরব উপজেলার স্বাস্থ্য কর্মকর্তা।

নারায়ণগঞ্জ থেকে ভৈরবে পালিয়ে যাবার কারণে পাঁচকে বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টিনে পাঠিয়েছে ভৈরব উপজেলার স্বাস্থ্য কর্মকর্তা।

কেন নারায়ণগঞ্জ থেকে মানুষ গোপনে চলে যাচ্ছে?

বাংলাদেশের সংক্রামক রোগ বিষয়ক গবেষণা প্রতিষ্ঠান আইইডিসিআর-এর উপদেষ্টা মোশতাক হোসেন বলেন, যারা করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হচ্ছেন তাদেরকে বিভিন্ন জায়গায় সামাজিকভাবে একঘরে করে দেবার প্রবণতা বাড়ছে।
এ বিষয়টি নিয়ে মানুষের মনে এক ধরণের ভীতি তৈরি হয়েছে।
সেজন্য করোনাভাইরাসের উপসর্গ থাকলেও এখন অনেকে পরীক্ষা করাতে আগ্রহী হচ্ছেন না বলে উল্লেখ করেন মি: হোসেন।
তিনি বলেন, ” দেখা যাচ্ছে কোন বাসায় সন্দেহভাজন রোগীকে পরীক্ষা করতে আসলেই তার বাসা তথাকথিত লকডাউন হয়ে যাচ্ছে। তারা টেস্টের রেজাল্ট পর্যন্ত অপেক্ষা করছে না।”
ফলে মানুষের মধ্যে রোগটা লুকিয়ে রাখা বা এক জায়গা থেকে পালিয়ে অন্য জায়গায় চলে যাবার প্রবণতা বাড়ছে বলে মি: হোসেন মনে করেন।

ফলে মানুষের মধ্যে রোগটা লুকিয়ে রাখা বা এক জায়গা থেকে পালিয়ে অন্য জায়গায় চলে যাবার প্রবণতা বাড়ছে বলে মি: হোসেন মনে করেন।
তিনি বলেন, লকডাউন বিষয়টি জনস্বাস্থ্য সুরক্ষা দেবার একটি পদ্ধতি।
“এটাকে যদি ভয়াবহভাবে উপস্থাপন করা হয় তাহলে তো জনস্বাস্থ্যের জন্য যে উদ্দেশ্য , ভাইরাসটা যেন ছড়িয়ে না পড়ে, সে উদ্দেশ্যটাই ব্যাহত হচ্ছে।”
নারায়ণগঞ্জের উদাহরণ দিয়ে মি: হোসেন বলেন, লকডাউন নিয়ে আতঙ্ক তৈরি হবার কারণেই অনেকে নারায়ণগঞ্জ থেকে গোপনে অন্য এলাকায় চলে গেছে।
“তারা ভাবছে লকডাউনের সময় ঘরে বসে থাকবে, তারা না খেয়ে মারা যাবে। মৃত্যু হলেও কেউ দেখতে আসবে না। এই আশঙ্কা থেকেই তারা অন্য জায়গায় যাচ্ছে।”
এত করোনাভাইরাসের সংক্রমণ আরো ছড়িয়ে যাবে বলে তিনি আশংকা প্রকাশ করেন।


Logo

Website Design & Developed By MD Fahim Haque - Web Solution